Tripura News: ডিজিটাল ও প্রিন্ট দুই ফরম্যাটেই খবর হবে সম্পূর্ণ পৃথক ঘরানার: গৌতম

IMG 20250702 WA0336

টিএসএন ডেস্ক, ২জুলাই।।

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ত্রিপুরাতে এলেন। আগরতলা বিমান বন্দরে নেমে যে ভাবে তিনি মিশে গেলেন ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ,একবারের জন্য ও মনে হয়নি তিনি পশ্চিমবঙ্গের লোক। এই তিনি হলেন জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে স্বনামধন্য বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য। আগরতলাতে তাঁর আত্মীয় পরিজনরা রয়েছেন। তবে কখনোই এখানে আসা হয়ে উঠেনি । অবেশষে বুধবার সকালের বিমানে আগরতলায় এলেন গৌতম ভটাচর্জ। ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্ণালিস্ট ক্লাবের উদ্যোগে এবং তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় এদিন ক্রীড়া বিষয়ক এক ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয় আগরতলা প্রেস ক্লাবে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রথমবার রাজ্যে এলেন গৌতম ভট্টাচার্য। যার লেখনীতে রয়েছে ডন ব্রেডম্যান থেকে শচীন, সৌরভ সহ অসংখ্য ক্রিকেটারের বাস্তব জিবনী, তৎসঙ্গে জিনতামান থেকে শর্মিলা ঠাকুরের মতো অসংখ্য অভিনেতা,অভিনেত্রীদের জীবন শৈলীর রুপকথা। এদিন গৌতম ভট্টাচার্যকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হলেন অনেকেই। এটাই স্বাভাবিক। কেন না তাঁর কলম তো নয়,এটা হলো ক্রীড়াক্ষেত্রে এক অজানা সাহিত্যের রুপকথা। আগরতলা প্রেস ক্লাবের এদিন ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাব আয়োজিত এবং তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায় । সঙ্গে ছিলেন ক্রীড়া দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকার, ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি সরজু চক্রবর্তী সহ ক্লাবের অন্যান্য সিনিয়র,জুনিয়র সদস্যরা। ক্লাবের সভাপতি সরজু চক্রবর্তী উত্তরীয় এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে অতিথিদের মঞ্চে বরণ করলেন। টি এস জে সি র সভাপতিকে বরণ করলেন ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের সম্পাদক অনির্বাণ দেব । এরপর শুরু হল একে একে বক্তাদের ভাষণ পর্ব ।প্রত্যেকেই গৌতম ভট্টাচার্যকে কাছে পেয়ে খুবই খুশি হলেন। মুখ্যমন্ত্রী তো ব্যাপক খুশি হলেন ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের এই আয়োজনে। ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাসে এবারই প্রথম ক্রীড়ার উপর হলো কোনও ওয়ার্কশপ। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরলেন অতীতের কিছু স্মৃতিময় খেলার মাঠের কথা। কেননা মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একজন গুণমান সম্পন্ন খেলোয়ার ছিলেন কোনও একসময়। এই স্মৃতি আরও একবার মনে পড়ে গেল তাঁর। ব্যাপর জমিয়ে ওয়ার্কশপ শুরুর আগে প্রত্যেকের সঙ্গে নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে ক্রীড়া মন্ত্রী সহ আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও তুলে ধরলেন এই ওয়ার্কশপের গুরুত্ব। ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাব আয়োজিত এই ওয়ার্কশপে শহর সহ মহকুমা থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করলেন। উদ্বোধনের পর শুরু হল ওয়ার্কশপ। হল পুরো ঠান্ডা, তবে এ সির জন্য নয় কিন্তু। প্রত্যেকেই অধীর আগ্রহে শুনলেন প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্যের মূল্যবান কথাগুলো। কখনো দিয়েগো মারাডোনা ,কখনও ডন ব্র্যাডম্যান, কখনও জিনাতামান এমন অসংখ্য ইন্টারভিউ কিভাবে তিনি করলেন তার প্রেক্ষাপট তুলে ধরলেন গৌতম ভট্টাচার্য একদমই সাবলীল ভাবে। একই সঙ্গে তিনি বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিভাবে করতে হবে সাংবাদিকতা তার মূল্যবান পাঠও দিলেন গৌতম ভট্টাচার্য। তিনি স্পষ্টভাবে বললেন এখন ডিজিটালের যুগ। সময়ের সাথে নিজেকে বদলাতে হবে। বিশেষ করে বর্তমানে যে প্রতিযোগিতা রয়েছে খবরের বাজারে, তার মধ্যে সেরা নিউজটা বাছাই করতে হবে একজন প্রকৃত সাংবাদিককেই। তার জন্য তাকে পরিশ্রম তো বটেই অত্যন্ত সুচারভাবে সেই খবরের আদ্যপ্রান্ত ইতিহাস জেনেই তাকে জনগণের সামনে আনতে হবে। ডিজিটাল এর যুগে এখন প্রিন্ট মিডিয়ার গুরুত্ব কিন্তু আরও অনেকটাই বেড়ে গেল। তাই প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের তিনি স্পষ্টভাবে বললেন, ডিজিটাল যেটা করছে তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে সেই নিউজটা করতে হবে, তবেই তা হবে জনগণের জন্য গ্রহণযোগ্য। দু’ঘণ্টা যে কিভাবে কেটে গেল গৌতম ভট্টাচার্যের এই ওয়ার্কশপে কেউ টেরই পেলেন না। বহুমূল্যবান টিপস মিললো এই ওয়ার্কশপ থেকে ক্রীড়া সাংবাদিকদের। সর্বোপরি ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি ভোট অফ থ্যাংকস দিলেন মঞ্চে উপস্থিত প্রত্যেক অতিথি সহ প্রখ্যাত ক্রীড়াবিদ গৌতম ভট্টাচার্যকে। এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগীতার ও প্রশংসা করলেন সভাপতি সরজু চক্রবর্তী। একই সঙ্গে তিনি ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য অভিষেক দের ও প্রশংসা করলেন। কেননা এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অভিষেক দের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *