Tripura Cricket: সদর মহকুমাতে সেরা বড়দোয়ালী স্কুলের মেয়েরা।

IMG 20250626 WA0230

টিএসএন ডেস্ক,২৬ জুন।।
               এবারই প্রথম। সদর মহকুমার সেরা হল বড়দোয়ালি স্কুল। বৃহস্পতিবার আসরের ফাইনালে গেলোবারের চ্যাম্পিয়ন আসাম রাইফেলস পাবলিক স্কুলকে সহজেই পরাজিত করলো চন্দন দেববর্মা-‌র বড়দোয়ালী স্কুল। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা আয়োজিত সদর আন্ত:‌ স্কুল বালিকাদের ক্রিকেট প্রতিযোগিতায়। এম বি বি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বড়দোয়ালী স্কুল জয়লাভ করে ৯ উইকেটে। আসাম রাইফেলস পাবলিক স্কুলের গড়া ৭৬ রানের জবাবে বড়দোয়ালী স্কুল ২৮ বল বাকি থাকতেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। বিজয়ী দলের অনুভা পাল প্রথমে বল হাতে এক উইকেট তুলে নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ২২ রানে অপরাজিত থেকে যান। গেলো বছর গ্রুপ গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছিল বড়দোয়ালী স্কুলকে। এ বছর আসরের শুরু থেকেই ব্যাটে-বলে দাপট দেখাচ্ছিলো ওই স্কুলের ক্রিকেটাররা। যা বজায় রইলো ফাইনাল ম্যাচেও। এদিন সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড়‌দোয়ালীয স্কুলের বোলারদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় আসাম রাইফেলস পাবলিক স্কুল। দল নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৬ রান করতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে ক্রিস্টিনা রেমা ২৫ বল খেলে দুটি বাউন্ডারি সাহায্যে ১৮, অনুষ্কা টুডু ২৫ বল খেলে একটি বাউন্ডারি সাহায্যে ১৪ এবং মহেশ্বতা দাস ১৬ বল খেলে ১০ রান করে। দল অতিরিক্ত খাতে সর্বাধিক পায় ২৩ রান। বড়দোয়ালী স্কুলের পক্ষে অনুভা পাল পাঁচ রানে, ঋত্বিকা পাল ১০ রানে, অস্মিতা দেবনাথ ১২ রানে এবং তুলসী দাস ১৭ রানে একটি করে উইকেট দখল করে। জবাবে খেলতে নেমে বড়দোয়ালী স্কুল ১৫.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। দলীয় ১৮ রানের মাথায় সায়ন্তিকা নম:‌কে হারানোর পর দলের হয়ে রুখে দাঁড়ায় অনুভা পাল এবং অস্মিতা দেবনাথ। ওই জুটি ঠান্ডা মাথায় বিপক্ষে যাবতীয় আক্রমণের মোকাবেলা করে দলকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যায়। অস্মিতা ৩৭ বল খেলে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ত্রিশ রানে এবং অনুভা ৪৭ বল খেলে তিনটি বাউন্ডার এর সাহায্যে ২২ রানে অপরাজিত থেকে যান। দল অতিরিক্ত খাতে পায় ১৭ রান। আসাম রাইফেলস পাবলিক স্কুলের পক্ষে লক্ষ্মী কুমারী ১৬ রানে একমাত্র উইকেটটি দখল করে। খেতাব জয় করে মাঠে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে বড়দোয়ালী স্কুলের ক্রিকেটাররা। খেতাব জয়ের পুরো কৃতিত্ব দলীয় ক্রিকেটারদের দিয়েছেন কোচ চন্দন দেববর্মা। তিনি বলেন, ক্রিকেটারদের পরিশ্রমের ফসল পেলো স্কুল। আগমাদিনেও চেষ্টা করবো আরও ভালো মানের ক্রিকেট খেলা উপহার দিতে। ‌‌


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *