টিএসএন ডেস্ক,২৩ জুন।।
সস্তা নাটকে হার মানতে হলো বিশালগড় মহকুমাকে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে হলো বিশালগড় মহকুমাকে। নিয়মানুযায়ী খেলার মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই শেষ। কিন্তু এদিন উদয়পুরের বিরুদ্ধে মাঝপথে মাঠ খেলার উপযুক্ত নয় ওই অজুহাতে খেলতে অস্বীকার করেন বিক্রম কুমার দাসের নেতৃত্বে বিশালগড় দল। ম্যাচ রেফারি সহ আম্পায়াররা দীর্ঘক্ষণ বিশালগড় মহকুমার ক্রিকেটারদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও নাছোরবাধা ছিলেন ওই মহকুমার ক্রিকেটাররা। ফলে বাধ্য হয়েই আম্পায়াররা উদয়পুর মহকুমাকে জয়ী ঘোষনা করেন। এদিকে বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে, অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর থেকে বিশালগড় মহকুমার ক্রিকেটাররা চাইছিলেন বৃষ্টির জন্য যেনও পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হউক ম্যাচটি। আর রিজার্ভ ডে-তে খেলানো হয় ম্যাচটি। অনেকেই মনে করছেন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের উচিৎ বিশালগড়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক। যাতে অন্য আর কোনও দল এমন করতে না পারে। এদিন সকালে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে উদয়পুরের বোলারদের সাড়াশি আক্রমণে মাত্র ১১৯ রান করে বিশালগড় মহকুমা। একসময় ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল ছিলো খাদের কিনারায়। ওই অবস্থায় জয়কিষান সাহা এবং রাজীব হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। ওই দুজনের হাত ধরেই ১০০ রানের গন্ডি পার হয় বিশালগড় মহকুমা। দলের পক্ষে রাজীব ৪৮ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ এবং জয় কিষান ৫৩ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩০ রান করেন। উদয়পুর মহকুমার পক্ষে দলনায়ক কৃতিদীপ্ত দাস ৯ রানে ৩ টি, মিজানুর রহমান ১৬ রানে এবং শঙ্কর পাল ১৮ রানে ২ টি করে উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে ১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১ রান করার পরই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি কমার পর মাঠ খেলার উপযুক্ত হতেই দুই আম্পায়ার রাজীব কুমার দাস এবং রঞ্জিৎ রিয়াং খেলা শুরু করার পরামর্শ দেন। কিন্তু খেলতে অস্বীকার করেন বিশালগড় মহকুমার ক্রিকেটাররা। ওই মহকুমার ক্রিকেটারদের দাবি মাঠ খেলার উপযুক্ত নয়। প্রশ্ন দেখা দিয়ে ছিয়েছে, যে দলের বেশীরভাগ ক্রিকেটার ত্রিপুরার হয়ে বিভিন্ন আসরে খেলছেন, পাশাপাশি কোচ রাশু দেব দত্ত ত্রিপুরা দলের কোচ। ওই দল কীভাবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করলেন?
Tripura Cricket: বিশালগড়ের সস্তা নাটক, জয়ী উদয়পুর।
