টিএসএন ডেস্ক, ২৩ জুন।।
রাজ্যে প্রতিভার অভাব নেই। আমাদের লক্ষ্য এই রাজ্য থেকে আরও দীপা কর্মকার বের করে আনা। তা তখনই সম্ভব হবে যদি রাজ্যের সব সংস্থার কর্তাদের মধ্যে মেলবন্ধন থাকে। তাহলেই বেরিয়ে আসবে আরও অলিম্পিয়ান এই রাজ্য থেকে। সোমবার সকালে অলিম্পিক দিবস উপলক্ষে পদযাত্রা-র সূচনাতে এ কথা বলেন ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি বলেন, খেলাধুলার মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। পাশাপাশি তৈরি হয় মেলবন্ধন ও সৌভ্রাতৃত্ব বোধ। বিশ্বাস করি, এই দিনে এই শোভাযাত্রায় খেলোয়াড়দের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধ এবং সুসম্পর্ক জাগিয়ে তুলবে। এবং খেলোয়াড়রাও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে। সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এদিন রাজ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় অলিম্পিক দিবস। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তাকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয় ওই রেলি। রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে শুরু হয় ওই সুদৃশ্য রেলি। তাতে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল, এ ডি নগর কোচিং সেন্টার সহ মোট ৩৩ সংস্থা অংশ নিয়েছিল। যা গেলো কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রায় দুই হাজার খেলোয়াড়, কোচ এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্তারা অংশ নিয়েছিলেন ওই রেলিতে। ওই রেলি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। কার্যত সোমবার সকালে রাজপথ দখলে নেন বিভিন্ন সংস্থার খেলোয়াড়রা। ক্রীড়া মন্ত্রী ছাড়া এই দিন উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এস বি নাথ, ক্রীড়া পর্ষদের সচিব সুকান্ত ঘোষ, যুগ্ম সচিব স্বপন সাহা, ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রতন সাহা, সভাপতি পদ্মশ্রী ড: দীপা কর্মকার , রাজ্যের প্রথম অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত জিনমাস্ট মন্টু দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। রাজ্য অলিম্পিক সংস্থার চেয়ারম্যান রতন সাহা বলেন, খেলাধুলার মধ্য দিয়ে এক নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষ্য নিয়েই ওই রেলি। আশা করি, এই রেলি থেকে উজ্জীবিত হবে রাজ্যের খেলোয়াররা। এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আরও প্রতিভাবান খেলোয়ার বেরিয়ে আসবে এই রাজ্য থেকে। ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সে আলোরন সৃষ্টি করা পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার বলেন, এই রাজ্যে থেকে আরও প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের করে আনা আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। অলিম্পিক ডে রেলির মধ্য দিয়ে বিশ্বাস করি খেলোয়ারদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠবে।